প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছে দল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন। কৌশলগত কারণে সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ পূর্বে জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফেরার আশা রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়টি ডিসেম্বরের শুরুতে পুনর্নির্ধারিত হয়েছে।
গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি তারেক রহমানের জন্য সাজানো হচ্ছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার এই বাড়ির নামজারি সম্পন্ন করেছে। বাড়িটি তিন বেডরুম, ড্রয়িং, ডাইনিং, লিভিং রুম, সুইমিংপুলসহ আধুনিক সুবিধা সমৃদ্ধ। নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ও কাঁটাতারের বেষ্টনি বসানো হচ্ছে।
দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারেক রহমান খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকেও কাজ চালাবেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটির ভেতর-বাইরের সংস্কার কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশে ফিরে তিনি এখানেই থাকবেন। খালেদা জিয়ার বাড়ির পাশেই ছেলের অবস্থান দলীয় কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
প্রসঙ্গত, প্রায় ১৭ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান ২০০৭ সালে গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং সেখান থেকেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে নেওয়ার পর তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন।
দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারেক রহমান দেশে ফেরার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দলের প্রস্তুতি ও সিনিয়র নেতাদের বক্তব্য মিলিয়ে তার দেশে ফেরা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ডেস্ক নিউজ 





















