বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকায় সঠিকভাবে কীভাবে ফিরবেন তা এখনো অজানা।
তথ্য অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া দেশে ফেরার বিকল্প উপায় হলো ট্রাভেল পাস। এটি একটি অস্থায়ী ভ্রমণ নথি, যা বিদেশে থাকা কোনো বাংলাদেশিকে শুধুমাত্র একবার দেশে ফিরতে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। ট্রাভেল পাস দিয়ে অন্য দেশে ভ্রমণ করা যায় না।
ট্রাভেল পাস সাধারণত দেয়া হয় যদি বিদেশে অবস্থানরত নাগরিক পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে, পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় বা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করা সম্ভব না হয়। নাগরিকত্ব প্রমাণিত কিন্তু পাসপোর্ট নেই এমন শিশু, প্রবাসী শ্রমিক বা আটক/ডিটেনশনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকও পেতে পারেন।
ট্রাভেল পাস পেতে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার প্রমাণ প্রয়োজন, যেমন জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুরোনো পাসপোর্ট, আত্মীয়ের হলফনামা, স্কুল-কলেজের সনদ, অথবা প্রবাসে আটক হলে স্থানীয় পুলিশের কাগজপত্র।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারেক রহমান লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে খুব সহজেই দেশে ফিরতে পারবেন। দেশে এসে তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তারেক রহমানের পাসপোর্টের জটিলতা মূলত ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর নবায়ন না হওয়ায়। ২০১৮ সালে তখনকার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-মেয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ‘সারেন্ডার’ করেছেন। ফলে বর্তমানে তার হাতে বৈধ পাসপোর্ট নেই।
গত প্রক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পাসপোর্ট না থাকলেও দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস কোনো বড় বাধা নয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা এটিই প্রমাণ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তারেক রহমান চাইলে সরকার ভ্রমণ নথি বা পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাভেল পাস আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং প্রতিটি দেশই নিজ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্বে বাধ্য।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা এবং ভোটার হওয়া এখন দলের নেতাকর্মীদের নজরের কেন্দ্রে রয়েছে।
ডেস্ক নিউজ 





















