Dhaka ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একযুগ ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্র

  • ডেস্ক নিউজ
  • Update Time : ০১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • 36

দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্রটি প্রায় ১২ বছর ধরে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় পড়ে আছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে স্থাপিত এ যন্ত্রটি ভূমিকম্প চলাকালীন কোনো সংকেত বা কম্পনের রেকর্ড দিতে পারেনি। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এ এনালগ যন্ত্রটি ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে স্থাপন করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, যন্ত্রটি সিমেন্টের ছাউনির নিচে মাটির গভীরে স্থাপন করা হলেও কন্ট্রোল ইউনিটসহ পুরো সিস্টেমই অচল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যন্ত্রটি আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটির লক্ষ্য ছিল ভূমির উচ্চতা পরিবর্তন, নিম্নগমন ও ভূকম্পন রেকর্ড করা। স্থাপনের প্রথম বছর সচল থাকলেও পরবর্তীতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত পুরনো প্রযুক্তির এনালগ যন্ত্র, যার মাধ্যমে আধুনিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির যন্ত্র তৈরি হলে আগাম সতর্কবার্তা প্রদানসহ জনগণকে আরও কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা যাবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান জানান, এটি সিসমোগ্রাফ নয়, বরং ভূমির ওঠা-নামা পরিমাপক যন্ত্র। তবে ভূকম্পনও এতে শনাক্ত করা সম্ভব। যন্ত্রটি একদম অকেজো হয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে নতুন আধুনিক যন্ত্র স্থাপনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার মানুষ দ্রুত আধুনিক ভূকম্পন মাপার যন্ত্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন, কারণ দুর্যোগপ্রবণ এ অঞ্চলে আগাম সতর্কতার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Deen Md

একযুগ ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্র

Update Time : ০১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূকম্পন পরিমাপক যন্ত্রটি প্রায় ১২ বছর ধরে সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় পড়ে আছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে স্থাপিত এ যন্ত্রটি ভূমিকম্প চলাকালীন কোনো সংকেত বা কম্পনের রেকর্ড দিতে পারেনি। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এ এনালগ যন্ত্রটি ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে স্থাপন করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, যন্ত্রটি সিমেন্টের ছাউনির নিচে মাটির গভীরে স্থাপন করা হলেও কন্ট্রোল ইউনিটসহ পুরো সিস্টেমই অচল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যন্ত্রটি আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটির লক্ষ্য ছিল ভূমির উচ্চতা পরিবর্তন, নিম্নগমন ও ভূকম্পন রেকর্ড করা। স্থাপনের প্রথম বছর সচল থাকলেও পরবর্তীতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস এম তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত পুরনো প্রযুক্তির এনালগ যন্ত্র, যার মাধ্যমে আধুনিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তিনি মনে করেন, গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির যন্ত্র তৈরি হলে আগাম সতর্কবার্তা প্রদানসহ জনগণকে আরও কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা যাবে।

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান জানান, এটি সিসমোগ্রাফ নয়, বরং ভূমির ওঠা-নামা পরিমাপক যন্ত্র। তবে ভূকম্পনও এতে শনাক্ত করা সম্ভব। যন্ত্রটি একদম অকেজো হয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে নতুন আধুনিক যন্ত্র স্থাপনে একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার মানুষ দ্রুত আধুনিক ভূকম্পন মাপার যন্ত্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন, কারণ দুর্যোগপ্রবণ এ অঞ্চলে আগাম সতর্কতার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।