খুলনার লবণচরায় নাতি, নাতনি ও নানিসহ একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একইদিন পৃথক ঘটনায় করিমনগরে আলাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতের প্রথমার্ধেই ওই চারটি খুনের ঘটনা ঘটে। নগরীর লবণচরা এলাকার একটি বাড়ির মুরগির খামার থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন লবণচরা এলাকার মুক্তা কমিশনারের কালভার্টের পাশের দরবেশ গলির আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মহিদুন্নেসা (৫৫), মহিদুন্নেসার নাতি মুস্তাকিম (৮) ও নাতনি ফাতিহা (৬)।
অন্য ঘটনায় নগরীর করিমনগর সৈয়দ আলী হোসেন স্কুলের পাশে দুর্বৃত্তরা আলাউদ্দিন মৃধা (৩৫) নামে এক যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রোববার রাত ৯টার দিকে নগরীর লবণচরা থানার মুক্তা কমিশনার কালভার্টের পাশের দরবেশ গলি সংলগ্ন একটি বাড়ির মুরগির খামারে মহিদুন্নেছা ও তার নাতি মুস্তাকিম ও নাতনি ফাতিহার লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিহত তিনজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত মহিদুন্নেছার স্বামীর নাম জানা গেলেও নিহত শিশুদের বাবা ও মায়ের নাম জানা যায়নি। তবে শিশু দুটির মা বাগেরহাট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেশকার হিসেবে এবং বাবা খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর্মচারী হিসেবে চাকরি করছেন বলে জানা গেছে।
লবণচরা থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, তিনটি লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারণ বা ঘটনার বিস্তারিত এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর করিমনগর সৈয়দ আলী হোসেন স্কুলের পাশে দুর্বৃত্তরা আলাউদ্দিন মৃধাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে। ছয়–সাতজন দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আলাউদ্দিন মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং কিছুদিন আগে জামিনে কারাগার থেকে বের হন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 























