রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি বাসায় মা লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা নং–২৯ দায়ের করেন।
এজাহারে আজিজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, চার দিন আগে আয়েশা তাদের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি কর্মস্থল উত্তরা উদ্দেশে বাসা ছাড়েন। পরে স্ত্রীকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও না পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন, স্ত্রী লায়লা ফিরোজ গলা ও শরীরজুড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত পড়ে আছেন। মেয়ে নাফিসা বাসার মেইন গেটের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন পড়ে ছিল। দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আজিজুল ইসলাম সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হন, সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে আয়েশা লিফটে করে ৭ তলায় ওঠেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে মুখে মাস্ক পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যান। ফুটেজে দেখা যায়, তিনি নাফিসার মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে যান। অনুমান করা হচ্ছে, ওই সময়ের মধ্যেই তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজনকে হত্যা করেন।
ঘটনার বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আয়েশাকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই শহিদুল ওসমান মাসুমকে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইচ গিয়ার ও একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর আয়েশা বাথরুমে গোসল করে রক্ত পরিষ্কার করেন এবং পরে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যান।
নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পুলিশ বলছে, আয়েশাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডেস্ক নিউজ 
























